শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৪ মে ২০২৪ ১৮ : ৪০Sumit Chakraborty
বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মোট ভোটদানের বিস্তরিত পরিসংখ্যান প্রকাশের দাবিতে এডিআরের করা মামলায় নির্বাচন কমিশনকে কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার মধ্যে মোট ভোটার, কত ভোট পড়েছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশের দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভোট চলাকালীন এই বিষয়টি নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকাই উচিত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধীন অবকাশকালীন বেঞ্চের মন্তব্য, ২০১৯ থেকে এই বিষয়ে একটি মূল মামলা বকেয়া রয়েছে। অন্তবর্তী যে আবেদন করা হয়েছে, সেই একই আবেদন রয়েছে মূল মামলাতেও। মূল মামলাকীরেদর তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁর হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
আদালতের মন্তব্য, "আমরাও দায়িত্বপূর্ণ নাগরিক। আমাদের এই সময়ে হাত তুলে নেওয়াই উচিত।" তবে লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, "২০১৯ সালের যে আবেদন রয়েছে, সেই একই আবেদন রয়েছে ২০২৪ সালের মামলাতেও। ফলে আমরা কোনও অন্তবর্তীকালীন স্বস্তি দিতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর এই অন্তবর্তীকালীন মামলার শুনানি হবে।" বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, "আগামীকাল ষষ্ঠ দফার ভোট পর্ব। তার আগে ৫টি দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। যে কাজটির কথা বলা হচ্ছে, তারজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন। বাস্তব পরিস্থিতিটাও আমাদের বুঝতে হবে।" আইজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, "৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১৭সি ফর্ম রয়েছে ১০ লক্ষ। যে সংখ্যক কর্মী রয়েছেন, তাতে এগুলির গণনা সম্ভব।" অভিষেক মনু সিঙ্ভির বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন এতটা বেপরোয়া হতে পারে না।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৭সি ফর্মের তথ্য প্রকাশের দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সেগুলি একত্রিত করে শুনানি হয় এদিন।
এডিআরের তরফে আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে আদালতে সওয়াল করেন, "নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যাঁরা এর বিরুদ্ধে আদালতে এসেছেন, তাঁদেরও আস্থা রয়েছে। যদি আমরা এমন কোনও দিক তুলে ধরি যেটাতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, কেন তা থামিয়ে দেওয়া হবে।" তিনি জানান, প্রথম দুই দফার ভোটের পর কমিশন ভোটদানের হার সংশোধন করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এদিন আদালতে সওয়াল করেন মনিন্দর সিং। তিনি বলেন, এই আবেদন করা হয়েছে পুরোপুরি সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে। ফলে কেন সেই আবেদন শোনা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।